২৮ অক্টোবর শোকাহত দিনটি ছিল অন্য এক আলোচনায় সোশ্যাল মিডিয়া মুখরিত। ছোট থেকে বোরো সকল পর্যায়ের এক্টিভিস্টদেরই মনে ছিল একটাই প্রশ্ন, কারো জিজ্ঞেস “তিনি কি সত্যিই নেই?” আবার কেউ বলছে,দেখেন, হাসিনা মেনে নিতে পারে নাই যে- তার পতন হয়েছে। তার দেশ ছেড়ে আবার পালাতে হয়েছে।
তার কাছে এটা মনে হচ্ছিল, দূঃস্বপ্নের মত।
বিশেষ করে সে আমেরিকা, ইউকে, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক এর মত দেশে যখন ঢুকতে পারেনি, তখন তার মনে হলো আসলেই কিছু ঘটে গেছে।
ইভেন দুবাইও যখন তাকে রিজেক্ট করলো, তখন তার মনে হচ্ছিল শেখ মুজিবুর রহমান যেন কবিতা পড়ছে- সর্বনাশ হয়ে গেছে ছোট পাখি।
এর মধ্যে তার সাথে অজিত দোভাল দেখা করে বাস্তবতা বুঝায়।
এরপরই মূলত হাসিনা বুঝতে পারে, সর্বনাশ ঘটে গেছে। বোনের জামাই ওয়াকারও তাকে ধোঁকা দিছে।
যাদেরকে সে কোটি কোটি টাকা কামানোর সুযোগ করে দিয়েছিল, যাদেরকে সে বিলিয়নিয়ার বানিয়ে দিল, তারা সবাই তাকে ধোঁকা দিছে।
প্রচণ্ড জেদি মহিলা শেখ হাসিনা এটা মেনে নিতে পারেনি।
এরপরই মূলত সে স্ট্রোক করে। তাকে প্রথমে দেশের সেরা চিকিৎসকদের এনে ইন্ডোর চিকিৎসা দেয়া হয়।
কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে বিশেষায়িত সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়। অত্যন্ত গোপনে তাকে সেখানে চিকিৎসা দেয়া হয়।
স্ট্রোকে শেখ হাসিনার মুখের একাংশ বেঁকে গেলে তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়।
শুধু অর্থহীন শব্দ করে সে।
কিন্তু বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার জন্য শেখ হাসিনার বক্তব্য দরকার হয়।
তখন ভারতের রিসার্চ এন্ড এনালাইসিস উইং সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা শেখ হাসিনার কণ্ঠকে ক্লোন করে বিশেষ একটি অপারেশন পরিচালনা করবে।
র এর নিজস্ব অডিও ক্লোনিং প্রযুক্তি এক্ষেত্রে তারা ব্যবহার করে।
তারা স্পিকার এম্বেডিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যা মূলত ব্যক্তির কন্ঠের ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট অক্ষত রাখে।
স্পিকার এম্বেডিং প্রযুক্তিতে কণ্ঠের পিচ, টোন, স্পীড, অ্যাকসেন্ট এবং টিম্বার ঠিক রাখা হয়।
স্টেট অব আর্ট এই ভয়েজ ক্লোনিং কয়েক সেকেন্ডের অডিও ক্লিপ থেকেই ভয়েজ ক্লোন করতে পারে।
তারা শেখ হাসিনার শত শত অডিও ক্লিপ ম্যাচ করে এটাকে পারফেক্ট করে।
এরপর থেকে তারা প্রথম দিয়ে রেকর্ডেড অডিও মেসেজ আকারে পাঠালেও পরে রিয়েলটাইম অডিও ক্লোনিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে নেতাকর্মীদের অডিও কল দিতে শুরু করে ‘শেখ হাসিনা’ হিসেবে।
একদিকে শেখ হাসিনার চিকিৎসা চলছে, অন্যদিকে র এর একদল দুর্দান্ত এজেন্ট তাদের নিজস্ব রিয়েল টাইম অডিও ক্লোনিং টুলস ব্যবহার করে নেতাকর্মীদের কল করছে, প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে।
এই কারণে শেখ হাসিনা কখনো কোনো ইন্টারভিউতে আসেনি। তাকে এক হসপিটাল থেকে আরেকটি বিশেষায়িত সামরিক হসপিটালে সরানো হলে মূলত দেশে তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল।
শেখ হাসিনা অসুস্থ বা কোমায় চলে গেলেও র এর অডিও কল সার্ভিস চালু থাকে দেশে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে। হাসিনা স্টাইলে চালানো হয় কথাবার্তা।
এমনকি র এর কেউ কেউ ডীপ ফেইক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিডিও কল করার প্রস্তাবও দিয়েছিল। কিন্তু ডীপ ফেইক যতই পারফেক্ট হোক, সেটা ধরে ফেলার প্রচুর প্রযুক্তি এভেইলেবল থাকায় এবং সহজে ধরা পড়ার রিস্ক থাকায় পরে তারা ভিডিও কল এর চিন্তা বাদ দেয়।
অডিও কল এক্ষেত্রে তুলনামূলক নিরাপদ।
ফলে দেশের লীগের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে ভারতীয় একটি টিম শেখ হাসিনার অডিও কল চালু রাখে।
আরেকটা ব্যাপার নিশ্চিত না এখনো সেটা হলো- হাসিনা কোমায়, তাকে সম্ভবত মেডিক্যালী ডেথ ঘোষণা করা হয়েছে।
সুস্থ করার জন্য সব চেষ্টা চলমান। তবে এখনো সম্ভবত কোমা থেকে ফিরে নাই।
ফিরে আসার আর চান্স না থাকলে তাকে অফিশিয়ালি ‘খুবই অসুস্থ’ বলে ঘোষণা দেয়া হবে।
তবে এই প্রজেক্ট চালু রাখা উচিত কিনা, সেটা নিয়েও মতবিরোধ দেখা যাচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে।
ফলে ভারত এই ক্লোন ভয়েস কল অপারেশন কতদিন চালু রাখে, এটাই দেখার বিষয়।
শেখ হাসিনাকে এতদিন ধরে কোনো ভিডিও কল বা ভিডিও সাক্ষাৎকারে না দেখার এটাই কারণ।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার মৃত্যুর গুজব নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। একটি ছবি ও ফটোকার্ড ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয় বিভ্রান্তি ও আলোচনা।
ভাইরাল হওয়া ছবিতে দাবি করা হয়, শেখ হাসিনা ভারতের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। ছবিটি হাজার হাজার বার শেয়ার হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও ব্যবহার করা হয়েছে। তবে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ছবিটি শেখ হাসিনার নয় বরং ভারতের এক ৮২ বছর বয়সী নারীর, যিনি দিল্লি বিমানবন্দরে হুইলচেয়ার না পেয়ে হেঁটে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন।
ফ্যাক্টচেক ও সরকারি প্রতিক্রিয়া
রিউমর স্ক্যানার ও ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে, ছবিটি বিকৃত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়ানো হয়েছে। প্রযুক্তির অপব্যবহার করে শেখ হাসিনার মুখ বসিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিভ্রান্তিকর ফটোকার্ড। সরকার এ ধরনের গুজব ছড়ানোকে ‘ডিজিটাল অপরাধ’ হিসেবে চিহ্নিত করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
সতর্কবার্তা ও জনসচেতনতা
সরকারি মহল থেকে সাধারণ জনগণকে আহ্বান জানানো হয়েছে, কোনো তথ্য বা ছবি শেয়ার করার আগে তার সত্যতা যাচাই করতে। একইসঙ্গে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টিকারী গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, ডিজিটাল যুগে তথ্য যাচাই ছাড়া কিছু শেয়ার করা কতটা বিপজ্জনক হতে পারে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল কিংবা মনোযোগ আকর্ষণের জন্য ছড়ানো গুজব সমাজে বিভ্রান্তি ও অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই সচেতনতা ও দায়িত্বশীল আচরণই হতে পারে এর একমাত্র প্রতিকার।