ডেস্ক নিউজ
পাবনায় বিএনপি ও জামায়াত নেতা–কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের করা পাল্টাপাল্টি মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে মামলার পর অভিযান চালিয়ে জামায়াতের দুজন এবং বিএনপির তিনজন কর্মীকে আটক করা হয়।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আবদুর নূর জানান, দুই পক্ষের মামলার বিষয়ে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সংঘর্ষের দিন অস্ত্র হাতে গুলি ছোড়া যুবক জামায়াতের কর্মী—তার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তবে এখনো তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি; পুলিশ তাকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে চরগড়গড়ি গ্রামে জামায়াতের প্রার্থী আবু তালেব মন্ডলের গণসংযোগ চলাকালে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় গুলি ছোড়া, মোটরসাইকেল ভাঙচুরসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। আহতদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষের আগে কয়েক দিন ধরে এলাকায় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী–আটঘরিয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমানের পক্ষ থেকে করা মামলায় জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এদিকে জামায়াতের করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক মক্কেল মৃধাকে।
ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বাঁধন হাসান বাদী হয়ে জামায়াতের প্রার্থীসহ ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫০–২০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। অন্যদিকে ঈশ্বরদী উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে কৃষক নেতা মক্কেল মৃধাসহ ৩৫ জনকে নামীয় আসামি ও আরও ১৫০–২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে আরেকটি মামলা দেন।